আজকের গল্পটি স্বর্গীয় ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় কে নিয়ে। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এম বী পাশ করে বহু চেষ্টা- চরিত্র করে অর্থ সংগ্হ করে তিনি বিলেতে পড়তে গিয়েছিলেন। প্রথমে ইন্ডিয়ান দেখে আর পোশাক- আশাক দেখে বিলেতের অধ্যাপক ওঁর পরীক্ষা নিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু ওঁর অদম্য যেদের কাছে পরাজিত হয়ে শেষপর্যন্ত পরীক্ষা নিতে সম্মত হন। শুধু সেই পরীক্ষাতেই নয়, ফাইনাল পরিক্ষায় উনি যা রিজল্ট করেছিলেন তা দেখে ওঁর সেই অধ্যাপকই তাঁকে কাছে ডেকে বলে ছিলেন যে এরপর যে কোনো লোক তাঁর স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি নিয়ে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালে তাঁকে বিনা পরিক্ষায় তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে নেবেন।
এরপর বিধান রায় এফআরসীএস পাশ করে বিলেতে অনেক ভাল কাজের অফার পান, কিন্তু দেশবাসির সেবা করতে তিনি কলকাতায় ফিরে এসে এন আর এস মেডিকেল কালেজ ও হাসপাতালে যোগ দেন। সেখানেই হাসপাতালের মালিক ও প্রখ্যাত ডাক্তার নীলরতনসরকারের কন্যা কল্যানী দেবীর প্রেমে পড়ে যান। কল্যানী দেবী ও তাঁকে যথার্থ ভালবাসতেন। একদিন তিন ডাক্তার নীলরতন সরকারের কাছে সরাসরী গিয়ে কল্যানী দেবী কে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ডা৹ সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তিনি জিগ্গেস করেন,
" তোমার মাইনে কত?"
ডা৹ রায় তখন সবে চাকুরিতে ঢুকেছিলেন। কি বা মাইনে ছিল তাঁর? তাই জানালেন। সেটি শুনে ডাঁ সরকার বললেন,
" জান, কল্যানীর মাসের জুতোজোড়ার খর্চা তোমার মাইনের থেকেও বেশি।"
প্রচন্ড অপমানে ডা৹ রায়ের মুখচোখ এরপর লাল হয়ে গেছিল। তিনি চুপচাপ সেখান থেকে বেড়িয়ে আসেন।কল্যানীদেবীর অন্যত্র বিবাহ হয়েছিল। ডা৹ রায় কিন্তু আজীবন অবিবাহিত থাকেন।
উনি কিন্তু কল্যানী কে কক্ষোনো ভুলতে পারেননী। যখন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তিনি চারটি উপনগরী স্থাপন করেন। তাঁর মধ্যে একটির নাম রাখেন কল্যানী।
তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বানানো সল্টলেকের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিধাননগর।
( তথ্য সুত্র: whatsapp এর একটি পোস্ট)
Comments
Appreciate the author by telling what you feel about the post 💓
No comments yet.
Be the first to express what you feel 🥰.
Please Login or Create a free account to comment.